শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর সরাসরি উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে টিকা প্রদানের কর্মসূচি শুরু হবে। টিকা প্রদানের পর হলসমূহ খুলে দেওয়া হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সারা বছর শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে সে জন্য একটি ডেডিকেটেড টেলিভিশন চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে।
করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৪৯৯ স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি দলের সাহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয় সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যেসকল জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।