করোনাভাইরাস জনিত কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত জিও তথা অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাস জনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সকলে একযোগে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।
শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে জারিকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ বদ্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ভুত পরিস্হিতিতে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ দপ্তর/সংস্থা এবং স্হানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ কার্যক্রম যেমন-চাল, নগদ অর্থ, শিশু খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা/অনুশাসনের আলোকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায় যে, কোথাও কোথাও স্হানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম/দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
এরুপ অনিয়ম/দুর্নীতিতে জড়িত জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে সাময়িক বরখাস্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজুসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণকে অনিয়ম/দুর্নীতির বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে স্হানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ জন্যও অনুরোধ করা হয়।