মহামারী করোনার সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাহাত্তর হাজার সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকা প্রণোদনার প্রেক্ষিতে এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পাঁচটি প্যাকেজে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে বারো হাজার সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকা, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কীমে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং পূর্ব ঘোষিত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন মজুরী প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাড়াবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করলেও আমরা হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় কৃষক-ক্ষেতমজুর, শ্রমজীবি মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে জড়িত শ্রমিক, বিদেশে অবস্থানরত কর্মহীন প্রবাসী শ্রমিকসহ সবচেয়ে হুমকিতে থাকা দিন আনে দিন খায় মানুষদের জন্য কোন সহায়তা প্যাকেজ বা বরাদ্দের সুস্পষ্ট ঘোষনা এখনো পর্যন্ত নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্ডার ক্যান্সেলের জুজু তুলে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন পরিশোধের কথা বলে সরকারের কাছ থেকে ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা আদায় করে নিলেও দেখা গেল এই টাকা দিয়ে বেতন তো দেয়া হলই না, উল্টো খুলে দেয়া হল কারখানাগুলো। যদি মালিকদের অর্ডারই না থাকে তাহলে কেন কারখানা খোলা হল এ প্রশ্ন তুলে ঢাকায় আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বেতন পরিশোধ করে অবিলম্বে সকল ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণার দাবী জানিয়ে নেতৃবৃন্দ জানান, ঋণের উৎস পরিষ্কার না হলেও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিল্পমালিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ আমাদের সামনে দৃশ্যমান করে সরকার আসলে কার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সরকার ব্যবসায়ী বোঝে, জিডিপি বোঝে, গরিব বোঝে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখা গোষ্ঠির কাছ থেকে খেলাপী ঋণ আদায়ে জোর না দিয়ে উল্টো তাদের জন্যই নতুন ঋণ প্যাকেজ ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতিয়মান হয় সরকার জিডিপি বোঝলেও, মানুষের পেটের ক্ষুধা বোঝে না।
অবিলম্বে কৃষক-ক্ষেতমজুর, শ্রমজীবি মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে জড়িত শ্রমিক, বিদেশে অবস্থানরত কর্মহীন প্রবাসী শ্রমিকসহ সবচেয়ে হুমকিতে থাকা দিন আনে দিন খায় মানুষদের জন্য সহায়তা প্যাকেজ বা অর্থ বরাদ্দের জন্যে সরকারের প্রতি সুস্পষ্ট ঘোষনার আহবান জানানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সংকট মুহুর্তে সবচেয়ে হুমকিতে থাকা সাধা
মহামারী করোনার সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাহাত্তর হাজার সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকা প্রণোদনার প্রেক্ষিতে এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পাঁচটি প্যাকেজে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে বারো হাজার সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকা, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কীমে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং পূর্ব ঘোষিত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন মজুরী প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাড়াবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করলেও আমরা হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় কৃষক-ক্ষেতমজুর, শ্রমজীবি মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে জড়িত শ্রমিক, বিদেশে অবস্থানরত কর্মহীন প্রবাসী শ্রমিকসহ সবচেয়ে হুমকিতে থাকা দিন আনে দিন খায় মানুষদের জন্য কোন সহায়তা প্যাকেজ বা বরাদ্দের সুস্পষ্ট ঘোষনা এখনো পর্যন্ত নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্ডার ক্যান্সেলের জুজু তুলে শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন পরিশোধের কথা বলে সরকারের কাছ থেকে ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা আদায় করে নিলেও দেখা গেল এই টাকা দিয়ে বেতন তো দেয়া হলই না, উল্টো খুলে দেয়া হল কারখানাগুলো। যদি মালিকদের অর্ডারই না থাকে তাহলে কেন কারখানা খোলা হল এ প্রশ্ন তুলে ঢাকায় আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বেতন পরিশোধ করে অবিলম্বে সকল ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণার দাবী জানিয়ে নেতৃবৃন্দ জানান, ঋণের উৎস পরিষ্কার না হলেও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিল্পমালিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ আমাদের সামনে দৃশ্যমান করে সরকার আসলে কার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সরকার ব্যবসায়ী বোঝে, জিডিপি বোঝে, গরিব বোঝে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখা গোষ্ঠির কাছ থেকে খেলাপী ঋণ আদায়ে জোর না দিয়ে উল্টো তাদের জন্যই নতুন ঋণ প্যাকেজ ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতিয়মান হয় সরকার জিডিপি বোঝলেও, মানুষের পেটের ক্ষুধা বোঝে না।
অবিলম্বে কৃষক-ক্ষেতমজুর, শ্রমজীবি মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে জড়িত শ্রমিক, বিদেশে অবস্থানরত কর্মহীন প্রবাসী শ্রমিকসহ সবচেয়ে হুমকিতে থাকা দিন আনে দিন খায় মানুষদের জন্য সহায়তা প্যাকেজ বা অর্থ বরাদ্দের জন্যে সরকারের প্রতি সুস্পষ্ট ঘোষনার আহবান জানানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সংকট মুহুর্তে সবচেয়ে হুমকিতে থাকা সাধারণ মানুষের পাশে না দাড়ানোর মধ্য দিয়ে জনগণের সাথে সরকারের চূড়ান্ত ফয়সালার দিন ঘণিয়ে আসছে বলেও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের প্রতি হুশিয়ারি জানান নেতৃবৃন্দ।