জাটকা সম্পৃক্ত দেশের ২০ জেলার ৯৬ উপজেলায় জেলেদের জন্য সরকার আরও ২৪ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছেন।
জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় ধাপে জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবারের জন্য এই চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিজিএফ চাল মে মাসের ৭ তারিখের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আওতায় এপ্রিল-মে দুই মাসে প্রতিটি নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে চাল দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস একই উপজেলাসমূহে ২,৮০,৯৬৩টি জেলে পরিবারকে ২২ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল দেওয়া হয়। চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেদের অগ্রাধিকার দিতে নতুন মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো— ঢাকা জেলার দোহার, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর, রাজবাড়ী জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট, মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর, ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবালি, বরিশাল জেলার সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি।
এছাড়াও ঝালকাঠি জেলার সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঠালিয়া, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর, ফেনী জেলার সোনাগাজী, নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম জেলার সদর, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মীরসরাই, বাগেরহাট জেলার সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর ০১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এছাড়া প্রতিবছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস সরকার মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে।