ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর। বরং তিনি সেই অনুযায়ী প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে শহরে মারা যাওয়া একাধিক ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করে যাচ্ছেন। এছাড়াও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের ফোন পেয়ে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রীও পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন করা নিয়ে প্রায়ই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্বেচ্ছায় এই ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না। আবার অনেকে দাফন কাজে বাধাও দেয়। কিন্তু ব্যতিক্রম মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। কেউ রাজি না হলে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দাফন নিজেই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কাউন্সিলর খোরশেদ নিজের উদ্যোগে করোনার শুরু থেকেই তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংকট হবার পর নিজে হাজার হাজার বোতল তৈরী করে বিতরণ করেছেন। ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনায় আক্রান্তদের কাফনের ব্যবস্থার পাশাপাশি সৎকার কাজেও অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়াও নিজ এলাকার সড়কে ও বিভিন্ন বাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন খোরশেদ। যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রে অব্যহত রেখেছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন ও মাইকে ঘরে ঘরে দোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রতি এলাকায় মাইকিংও করাচ্ছেন তিনি। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে টিম গঠন করে এলাকায় এলাকায় আড্ডা বন্ধ করতে অনুরোধ করছেন খোরশেদ। নিজ ওয়ার্ডবাসীর স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে টেলি মেডিসিন সেবাও চালু করেছেন তিনি।