রাজাকার, যার সঠিক উচ্চারণ হবে রেজাকার, শব্দটাকে এত বেশি ঘৃণা করি যে, কোথায় শব্দটা দেখলে বা পড়লে বা শুনলে আমি ওজু করি। কারণ আমার কাছে মনে হয়, শুওরের বাচ্চারা এত বেশি অপরাধী, যে শব্দটা শুনলে সারাটা শরীর কেমন যেন ঘিন ঘিন করে, নিজেকেই অপবিত্র মনে হয়। আবার অবাকও লাগে যখন দেখি এরা ইসলাম প্রচার করে, ইসলামের নামে দল চালায়, মানুষ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে এদের বক্তব্য শুনতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়াঁয় থাকে, এমনকি এদের ইমাম মেনে এদের পেছনেই নামাজ পড়ে!
রেজাকারদের উৎপত্তি:
আসলে উৎপত্তি বল্লে ভুল হবে, বলতে হবে কাগজে কলমে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে বৈধ করণ।
দেখুন এখানে
কি বুঝলেন? অতর্কিত আক্রমন, না সাজানো গোছানো এক পরিকল্পনা। জ্বি এভাবেই ঘটানো হয়েছিল সেই ২৫সে মার্চের ভয়াল তান্ডবলীলা, ধ্বংসের দাবানল এভাই জ্বলেছিল, বাংলার আকাশ বাতাস আর্তমানবতার চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল বারংবার।
স্বাধীনতার ঘোষণা:
২৬ সে মার্চ, স্বাধীনতার ঘোষণা, বাঙালীর রক্তে আগুন জ্বলে উঠলো, হিংস্র হায়নার মত জ্বলতে শুরু করল প্রতিশোধ প্রবণ বাঙালী। শুধু একটাই কথা ‘একবার হতে অস্ত্র দিয়ে দেখ, কে শিকার আর কে শিকারী’। ভীত সন্ত্রস্থ পাকি জান্তারা এবার এগুলো দ্বিতীয় ধাপে। ঘোষণা দিয়ে, আইন করে বৈধ করা হল, সৃষ্টিকরা হল ‘রাজাকার অর্ডিন্যান্স’। জন্ম দেয়া হল বাংলাদেশ এমনকি পৃথীবির ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য মানুষরূপী কিছু নর পিশাচের।
অর্ডিন্যান্স পাশ করার পর এবার কাজে নামানোর পালা। মিলিশিয়া যাতে মুক্তি মনে করে না মেরে ফেলে সে জন্যে রাজাকারদের দেয়া হল পরিচয় পত্র। নীচে পরিচয় পত্র দেখুন-
রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য পাকিস্থানী জান্তারা রাষ্ট্রিয় ভাবে ঘটাকরে বেতন দিত। নীচে এর একটি নমুনা দেখুন
নেমে গেল মাঠে রাজাকারের দল। চালালো হত্য, লুট আর ধর্ষণ।
মাঝে মধ্যে দু’একটা ধরাপরে মারা গেলে তাদের পরিবার পরিজনদের দেয়াহত রাষ্ট্রিয় রেশন।
সংগঠন টিকিয়ে রাখার জন্য ছিল চাঁদা দেয়ার ব্যাবস্থা। আমাদের জনপ্রিয় গোলাম আজম রাজাকার হলেও চাঁদা প্রদানে কোন রাজাকারি করে নাই। অফসোস, শুধু একটা দলিল রেখে গেছেন-
তারপরও প্রশ্ন আসবে, আচ্ছা ভাইয়া, আমরা রাজাকারদের ঘৃণা করি কেন?