পাবনায় সরকারি ত্রাণ ও ১০ টাকা কেজির ভিজিএফ কার্ডের চাল সঠিক ভাবে বিতরণ না করে আত্মসাৎ ও দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া এবং নৈতিক অবক্ষয়জনিত কারণে পাবনা জেলার সুজানগর ও ঈশ্বরদী উপজেলায় যুবলীগের দুই ইউনিয়ন নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
২২ এপ্রিল রাতে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি ও যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কথা জানানো হয়।
বহিস্কৃতরা হলেন; ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাসুদ রানা মিন্টু। সে দাদপুর গ্রামের আমছের আলীর ছেলে।
গত ২১ এপ্রিল দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় এলাকায় জনৈক আফজাল দেওয়ানের বাড়িতে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত অবস্থায় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করে। পরে বিষয়টি চাপা দেয়া হয়।
অন্যদিকে জেলার সুজাগর উপজেলার আহম্মদ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ ওই এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার দুস্থ, অসহায় মানুষের কাছ থেকে কার্ড করে দেওয়ার নামে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু অদ্যবধি তিনি কাউকে কার্ড না দিয়ে অন্য মানুষ দিয়ে কার্ডের চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
একই সাথে সরকারি ত্রাণের ১০ টাকা কেজির ভিজিডি কার্ডের চালও সঠিক ভাবে বিতরণ না করে অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, সরকারি ত্রাণের চাল ভূক্তভোগীদের মাঝে বিতরণে অনিয়ম, চারিত্রিক অবক্ষয়জনিক কারণে এবং যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সুরুজ্জামান সুরুজ ও মাসুদ রানা মিন্টুকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে তাকে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিকবলেন, যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত যে কেউ যে কোন ধরণের অপরাধ, দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হলে বা জেলা যুবলীগ জানতে পারলে তার ছাড় নেই। তার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।