১ঃ
ওয়াজ হচ্ছে, বড়হুজুর একটি গল্প শোনাবেন, তারআগে শ্রোতাদের জিগ্যেস করলেন- তোমাদের মধ্যে কেউ যশোরের লোক নেইতো? আয়োজক আশ্বস্ত করলেন- না হুজুর!
আচ্ছা ঠিক আছে, মনে করো “এক দেশে এক অচিন গাছ আছিল, সেই গাছের পাতা নদীতে পড়লে কুমির হইয়া যাইতো আর ডাঙায় পড়লে বাঘ হইয়া যাইতো…”
এরমধ্যে এক শ্রোতা হাত উঠিয়ে জিগ্যেস করলেন, কিন্তু হুজুর যদি মাঝখানে আধাআধি পড়ে?
হুজুর শান্তভাবে জানতে চাইলেন- তোমার বাড়ি কই?
-জ্বী যশোর!
২ঃ
শহরের ছেলে প্রথমবার গ্রাম দেখতে এসেছে, বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো জমিগুলোর মধ্যে সরু নালা মতো কাটা যার শেষ মাথায় রয়েছে একটা কাঠের কাঠামো তাতে বাঁশের হাতল।
এর আবার কি কাজ! ভাবতে ভাবতে হাতলটা ধরে টান দিতেই গল গল করে পানি ঢোকা শুরু হলো ক্ষেতের ভেতর।
৫/৭ জন চাষী দৌড়ে এলো, বাকিরা পাল্লা বন্ধ করায় মন দিলেও বেশ তাগড়া চেহারার একজন অত্যন্ত রাগতঃভাবে শহুরের জামার গলাবন্ধ চেপে ধরলো।
হতচকিত শহুরে ছেলেটা ঘাবড়ে গিয়ে বললো "দুঃখিত ভাই, বুঝতে পারিনি।"
-বুঝস নাই মানে?
"ভাই, ভুল হয়ে গ্যাছে।"
-ভুল হইসে মানে?
"ভাই, মাফ করে দ্যান।"
-মাফ করতাম, মানে? রাগে আস্তে আস্তে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে চাষাটির।
"আচ্ছা ভাই ঠিকাছে, যা ক্ষতি হয়েছে আমি টাকা দিয়ে দেবো," অবশেষে বললো ছেলেটি।
চাষাটি এবার য্যান প্রায় মেরেই বসবে বেচারা শহুরে ছেলেটিকে। দাঁত কিড়মিড় করে জিগ্যেস করলো - তুই টাকা দিবি, মানে?
এরকম অযৌক্তিক রাগ দেখে ছেলেটিও হাল ছেড়ে দিলো। "ভাই ক্যামন কথা বলেন?..."
থমথমে মুখ, গম্ভীর গলায় চাষাটা জবাব দিলো -তুই ক্যামনও করতে পারবিনা!