বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক সুপার পাওয়ার রাশিয়া আগে থেকে কমব্যাট ড্রোন (ইউএভি) ইঞ্জিয়ারিং এণ্ড ডেভলপমেন্টে বিশেষ তেমন কোন নজর না দেওয়ায় এই সেক্টরে এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল কিংবা চীনের মতো ব্যাপক আকারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। তবে অনেকটা দেরিতে হলেও রাশিয়া তার কৌশল পরিবর্তন করে কমব্যাট এণ্ড নন-কমব্যাট কিংবা স্পাই ড্রোন (ইউএভি) ইঞ্জিয়ারিং এণ্ড ডেভলপমেন্টে ব্যাপক বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে। তারই ধারবাহিকতায় এই প্রথম বারের মতো রাশিয়া তার সেনাবাহিনীর হাতে মিডিয়াম রেঞ্জের তিনটি ‘অরিয়ন-ই’ নামক এট্যাক বা কমব্যাট ড্রোন (ইউএভি) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে। আর রাশিয়ার ‘অরিয়ন’ ড্রোনটির ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি হচ্ছে (The Kronstadt group of companies)। এই ড্রোনের ম্যাক্সিমাম টেক অফ ওয়েট ১০০০ কেজি এবং এটি ২০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত গাইডেড বোম্বস এবং ৪টি মিসাইল বহন করতে পারে। এটি একবার ফুয়েল নিয়ে একটানা ২৪ ঘন্টা আকাশে নজরদারি এবং ২৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে কমব্যাট অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটির গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার এবং এটি সর্বোচ্চ ৭,৫০০ মিটার উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে সক্ষম। অরিয়ন-ই ড্রোন এ অপটোলেক্ট্রনিক স্টেশনে দুটি থার্মাল ইমেজার, একটি প্রশস্ত-কোণ বিশিষ্ট টিভি ক্যামেরা এবং একটি লেজার রেঞ্জফাইন্ডার/টার্গেট ডিজিনেটর সিস্টেম ইন্সটল করা হয়েছে। তাছাড়া রাশিয়া এখন কিন্তু ‘অরিয়ন-২’ সিরিজের আরো আপগ্রেডেড ভার্সন নিয়ে কাজ করছে। যা কিনা ৪৫০ কেজি ওজনের অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারবে এবং তা খুব সম্ভবত ২০২১ সালের মধ্যেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে রাশিয়ার নিজস্ব তৈরি ‘অরিয়ন-ই’ (ইউএভি) কমব্যাট ড্রোন ইতোমধ্যেই সিরিয়ার আকাশে এর বেশ কিছু পরিক্ষামুলক ফ্লাইট সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা পুনরায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিশেষ কিছু প্রযুক্তিগত চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় এনে ড্রোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (The Kronstadt group of companies) কাছে পূর্ণ যাচাই এবং আপগ্রেডের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
সিরাজুর রহমান