পাবনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়াকে অবশেষে এলজিইডির সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
এলজিইডির এক অফিস আদেশে প্রধান প্রকৌশলী মো: মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তার বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস কালীন সময়ে ত্রানের নামে ঠিকাদারদের নিকট চাঁদাবাজী, কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঠিকাদারদের কোটি কোটি টাকার বিল প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
অতি সম্প্রতি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া নিজের অনুসারী একটি প্রভাবশালী ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ ঠিকাদারদের জোরপূর্বক ত্রান সহায়তার কথা বলে কথিত ত্রান তহবিলে অর্থ প্রদানে বাধ্য করেছেন বলে দাবী ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে।
পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড়ের সষ্টি হয়।
যদিও ওই কথিত ত্রান তহবিল গঠনে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে, ঠিকাদাররা নিজ উদ্যোগেই কাজটি করার দাবী করেন ওই সময়ে নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার আগের নিজের মনমতো ও পছন্দমত ঠিকাদারদের বিল প্রদান করা। আবার তার অনুসারী নয় এমন ঠিকাদারদের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করা হলেও বিল প্রদান না করে নানা তালবাহানা করা। পছন্দের ঠিকাদার না হলে কি করে কাজটি বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা যায়, এমন কাজ করা ছিল কেএম বাদশা মিয়ার নিকট মামুলি ব্যাপার।
এলজিইডির একটি সুত্র জানান, পাবনায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে একেএম বাদশা মিয়া যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারদের দমনপীড়ন শুরু করেন। রাতারাতি কিছু ঠিকাদার তার খাস চামচা বনে যান। বিষয়টি এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ও অবহিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি তদন্ত শেষে প্রধান কাযালয়ও এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
তার বদলীর বিষয়টি বুঝতে পেরে গত এক সপ্তাহে কাজ সমাপ্ত হয়নি এমন অন্তত ১৫টি কাজের কয়েক কোটি টাকার বিল প্রদান করেছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।
যা সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বিশেষ সুবিধা নিয়েই এই কাজগুলো করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন একাধিক ঠিকাদার।