করোনা সন্দেহের রোগীদের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো এবং হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের ব্যবস্থা চেয়ে তরুন প্রজন্ম সোচ্চার হচ্ছে।
এ দাবীতে পাবনার বিভিন্ন স্বীকৃত সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
তারা দাবী করছে অতিসত্বর পাবনা শহর লকডাউন করা হোক এবং পাবনায় করোনা পরীক্ষার উন্নত ল্যাব স্থাপন ও আইসিইউ এর ব্যবস্থা করা হোক।
পাবনা থেকে করোনা সন্দেহে নমুনাগুলো রাজশাহীসহ বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানোর পর অনেক সময় লাগে সে রিপোর্ট আসতে। এর মধ্যে মনের অজান্তেই একজন করোনা রোগী অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।
সম্প্রতি পাবনায় যে দুজন ডাক্তার এবং নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তারা গত কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালের সাধারণ রোগী ও সহকর্মীদের সাথে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এতে এখন অনেকেই আতঙ্কিত।
আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পাবনা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার কে এম আবু জাফর।
পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, সাথিয়া ও সুজানগর উপজেলাসহ জেলার সকল মানুষের দাবী পাবনায় করোনা পরীক্ষা করার ল্যাব স্থাপন করা হোক এবং বেশী নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নতুন করে ৬ জন শনাক্ত হওয়ার পর শহর তথা জেলায় নতুন করে অতঙ্ক শুরু হয়েছে।
পাবনার সচেতন মহল মনে করছেন কিছু মানুষ রাস্তায় ঘুরবেই। আবার কিছু মানুষ বাজারের অজুহাতে রাস্তায় নামবেই। এসব মানুষ মূলত চরম অসচেতন তাদের হার্ড লাইনে না আনলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই পাবনা জেলা প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন পাবনাবাসী।
পাবনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত ‘সিটিজেন ভয়েস’ ফেসবুক পেইজে মিশু মোকাদ্দেছ লিখেছেন, অতিদ্রুত শহর লকডাউন চাই। মোঃ আব্দুল আলিম শহরের ভীরের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন অতিদ্রুত পাবনা শহর লকডাউন করা দরকার।
নাসিম ডলার লিখেছেন, আরো কিছু দিন আগে থেকেই এই ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল। তবে লকডাউন হলে গরীব মানুষ খেটে খাওয়া দিন মুজুর শ্রেণির অনেক সমস্যা সৃষ্টি হবে তাই লকডাউন এবং তাদের দিকটা বিবেচনা করে তৃতীয় কোনো উপায় খুঁজে বের করাই হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করেন।
এ বিষয়ে, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ বলেন, পাবনায় এখন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। আজ নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাই সামনের দিনগুলা ঝুঁকিপূর্ণ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
পাবনা পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু বলেন, এখনো পুরোপুরি লাকডাউনের মত অবস্থা হয়নি। যেসব স্থানে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে সেসব বাসা ও তার আশপাশের বাসা আমরা লকডাউন করছি।
সবাইকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। পাড়া মহল্লায় যারা বাজে আড্ডায় বা অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন এটা কোনভাবেই এখন ঠিক নয়।