শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৮তম মৃ’ত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যু হয় তার। ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৯ অক্টোবর বরিশাল জেলার বানরীপাড়া থানার চাখার গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ওয়াজেদ আলী ছিলেন বরিশালের খ্যাতনামা আইনজীবীদের অন্যতম। বিপুল ঐশ্বর্যশালী পিতার একমাত্র সন্তান হলেও ফজলুল হক বাল্যকাল থেকেই বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন। শৃঙ্খলা ও আদর্শের প্রতি অনুরক্ত করেই গড়ে তোলা হয়েছিল তাকে।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাল্যকাল থেকেই তেজস্বিতা, তীক্ষ্ণ মেধা ও প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। ঘরেই তার আরবি, ফারসি ও উর্দু শিক্ষা শুরু হয়। ১৪ বছর বয়সে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে প্রথম শ্রেণির বৃত্তি এবং পারিতোষিকসহ ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এফএ এবং পরে রসায়ন বিদ্যা, পদার্থ বিদ্যা ও গণিতে অনার্সসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৮৯৫ সালে গণিতে এমএ পাস করেন। বরিশালের রামচন্দ্র কলেজে কিছুদিন অধ্যাপনার পর ১৮৯৭ সালে তিনি বিএল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপরই তিনি পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা আইনজীবী স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সহকারী রূপে ১৯০০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯০৬ সালে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্টেটের চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ১৯১১ সালে চাকরি ছেড়ে আবার আইন ব্যবসায়ে নেমে পড়েন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।