নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং তার স্ত্রী তাদের পরিবারের জন্যে করা ঈদের বাজেট করোনা মোকাবেলায় বিলিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল) রাতে ‘করোনার সঙ্গে লড়াই’ শিরোনামে নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের লাইভ টকশো ‘জনতন্ত্র গণতন্ত্র’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ যখন লকডাউন হলো আমার সহধর্মীনি এসে বলল যে ঈদের বাজেট কত? আমি বললাম যে কেন? ওনি বলল যে ঈদের বাজেটটা লাগবে।
আমি বললাম ঠিক আছে। আমাদের বাজেটের সাথে আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে আরো বাজেট যোগাড় করল।
যেদিন লকডাউন হলো এর দুই দিন পর থেকেই কিন্তু সে শুরু করলো একদম নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা।
এরপর আমার ছেলেও করলো। ও মাস্ক দিল পিপিই দিলো, খাবার দিলো। এরপর আমি শুরু করলম এবং আমি এ পর্যন্ত যত জায়গায় ত্রাণ দিয়েছি কোনো ছবি তুলি নাই। দিনে দিলে ভীড় হয় তাই রাতে দিয়েছি। এই পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষের ঘরে খাবার দিয়েছি।
আর সরকারের পক্ষ থেকে আমার নির্বাচনি এলাকায় আরো ৫০-৬০ হাজার পরিবারের খাবার এসেছে। অনেকেই কাজ করছে।
খাদ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা হচ্ছে না উল্লেথ করে শামীম ওসমান বলেন, লকডাউন তো ছিলই।
কিন্তু লকডাউনটাকে ১০০ভাগ মানা সম্ভব হচ্ছিল না এই কারণে যে ভাসমান লোকগুলো যারা এখানে কাজ করতেন এরা যাবেন কোথায়?
এরা কিন্তু মাঠে ছিলেন। মাঠে পুলিশ সেনাবাহিনী, র্যাব সবাই ছিল কিন্তু সমস্যা হচ্ছে
এরা কিন্তু সবাই ঘরে থাকতে পারছিলেন না। একটি জিনিস আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং মানতে হবে আমাদের দেশে কিন্তু শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ ৬ জনের পরিবার কিংবা ৭ বা ৮ জনের পরিবার। দুই রুমের একটি বাসায় থাকেন। একজন যদি অসুস্থ হন বাকি লোকগুলো যাবে কোথায়।
প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন ঘরে থাকতে। খাদ্যটা কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে না। সরকার থেকে আমরা খাদ্য পাচ্ছি। রাতের বেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেতাকর্মীরা খাবার পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু আসলে যেটা হচ্ছে যতটুকু সচেতন হওয়া দরকার হয়তো এটা আমাদেরই ব্যর্থতা যে সেটুকু সচেতন হতে পারছি না। এখানেই সমস্যা হচ্ছে।