ক্যাম্পাস প্রতিনিধি : করোনার ফলে স্থবির দেশ। মানুষ এখন ঘরমুখী বা অনেকটাই আলস্য জীবনযাপন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও অনেকদিন ধরেই বন্ধ। কেউ কেউ আবার অনলাইনে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এই সময়কে কাজে লাগিয়ে ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম’ শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করেছে ‘জাতীয় বই পাঠ প্রতিযোগিতা’ যা হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
মোঃ জাকারিয়াকে আহবায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছে সংগঠনটি। আগামী ১৫ই মে জাতীয় বই পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উক্ত জাতীয় বই পাঠ প্রতিযোগিতায় পাঁচটি বই নির্ধারণ করা হয়। প্রতিযোগীদের জন্য নির্ধারিত বইগুলো হলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী (শেখ মুজিবুর রহমান), প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (বাংলা একাডেমি), পথের পাঁচালি (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়), অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ (সেনেকা), ছোটদের রাজনীতি ছোটদের অর্থনীতি (অধ্যাপক নীহার কুমার সরকার)।
বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি নিম্নরুপঃ
আবেদন পদ্ধতিঃ
১. এস.এম.এস মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় আবেদন করতে হবে।
২. আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে আপনার নাম, বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম লিখে ০১৩০৩৫৩২৯৯৬ নাম্বারে পাঠিয়ে দিলে আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
আবেদনের যোগ্যতাঃ
পঞ্চম শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের যে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে
পারবেন।
পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রতিযোগীদের মোবাইল নাম্বারে প্রশ্নপত্রের লিংক পাঠানো হবে।
সিলেবাসে উল্লেখিত ৫টি বই থেকে ১০০টি এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্ন করা হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে প্রতিযোগীকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ব্যতীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
আবেদনের শেষ তারিখ: মে ১৩, ২০২০
পরীক্ষার সময়ঃ
১৫ মে, ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ফলাফলের ভিত্তিতে সারাদেশ থেকে ৫ জনকে ঢাকায় বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি জাহানুর ইসলাম বলেন, “করোনা মহামারীতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ তাতে শিক্ষার্থীরাও অবসর সময় কাটাচ্ছে। উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় কমিটি সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম একটি বই পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। তাতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ কামনা করি। আশাকরি এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি ভালো একটি আয়োজন হবে।”
উল্লেখ্য, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই প্রতিষ্ঠা লাভ করে এ সংগঠনটি।