নাজিবুল্লাহ
ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশাবাজারস্থ পল্লী চিকিৎসক রাজিব চন্দ্র মন্ডল করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আজ পরিপূর্ণ সুস্থ হয়েছেন এমন খবর শুনে তার বাসায় ফুল ও ফল নিয়ে হাজির হয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া সামাজিক সংঘ ও ইলিশা সমাজ কল্যাণ সেচ্ছাসেবী সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেতুলিয়া সামাজিক সংঘের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সিয়াম ও ইলিশা সমাজ কল্যাণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয়কারী সাংবাদিক ইয়ামিন হোসেন এর নেতৃত্বে একঝাক তরুণ হাজির হয় রাজিব চন্দ্র মন্ডলের বাসায়।
করোনা যোদ্ধা রাজিব চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমি শুরু থেকে করোনার আলামত দেখে সদর হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিয়ে এসেছি, এরপর ২৯ তারিখে সিভিল সার্জন ফোন দিয়ে বলেছেন আমার রিপোর্ট পজেটিভ, এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এসে বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, করোনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই, মনোবল শক্ত রেখে নিজে সচেতন হয়ে নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেই সুস্থ হয়ে উঠা যায়। আমি নিজের চিকিৎসা নিজে করেছি আর মাঝে মধ্যে সিভিল সার্জন স্যারের সাথে কথা বলছি।
তবে করোনা যোদ্ধা রাজিব বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ যে ভাবে আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার কথা সেই ভাবে নেয়নি, আমি সচেতন মানুষ তাই নিজের চিকিৎসা নিজে করেছি কিন্তু একজন অসচেতন লোক আক্রান্ত হলে কি অবস্থা হইতো?
সর্বশেষ রাজিব চন্দ্র মন্ডল তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, এবং দুঃখপ্রকাশ করে বলেন আমাদের সমাজে এমন অমানবিকতা যে করোনা মনে হয় কেউ ডেকে নিয়ে এসেছে, একজন আক্রান্ত রোগী এবং তার পরিবার কে সাহস আর অনুপ্রেরণা দিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে, সমাজ আর জাতী উপকৃত হবে। রাজিব চন্দ্র মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়ে বলেন, আমাদের পাশে এসে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ইলিশা সমাজ কল্যাণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তেতুলিয়া সামাজিক সংঘের সদস্যদেরকেও ধন্যবাদ জানান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসুস্থ্য থাকায় তার পক্ষে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান পাটোয়ারি, স্বাস্থ্য সহকারী আবদুল মালেক, রাজিব চন্দ্র মন্ডলের বাবা ডাক্তার নারায়ন চন্দ্র, বড় ভাই জোটন চন্দ্র মন্ডল, বিপুল চন্দ্র, তেতুলিয়া সামাজিক সংঘের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মমিন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, আদনান, সুজন ও ইলিশা সমাজ কল্যাণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য মোঃ রাছেল, মনির হোসেন, সোহেল, রাফসান প্রমুখ।