প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যার পবর্তসংকুল স্লোভেনিয়ার সরকার গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, সেখানে করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা গেছে এবং অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সতর্কতার আর কোনো দরকার নেই।
প্রধানমন্ত্রী জানেস জানসা বলেছেন, ইউরোপের মধ্যে স্লোভেনিয়ায় করোনা মহামারি পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো। ফলে মহামারির সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। দুই মাস আগে গত ১২ মার্চ সেখানে করোনা মহামারি ঘোষণা করা হয়।
সরকার বলেছে, অস্ট্রিয়া, ইতালি ও হাঙ্গেরি থেকে ইউরোপের বাসিন্দাদের এখন স্লোভেনিয়ায় ঢুকতে আর কোনো বাধা নেই। তবে তাদের পূর্ব-নির্ধারিত চেক পয়েন্ট দিয়ে ঢুকতে হবে।
অবশ্য অ-ইউরোপীয়রা প্রবেশ করলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১৩ মে পর্যন্ত স্লোভেনিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের।
করোনাভাইরাস মহামারিতে জারি থাকা লকডাউন থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিকতায় ফিরছে নিউজিল্যান্ড। চালু হচ্ছে বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য, খুলছে দোকানপাট, ক্যাফে, পার্ক।
পরিবার-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার ওপর থেকে উঠছে নিষেধাজ্ঞা। গত তিন দিনে নতুন কোনো কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি নিউজিল্যান্ডে।
গণসংক্রমণের আশঙ্কাও এখন অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৭ এবং মারা গেছে ২১ জন। আর মাত্র ৯০ জনেরও কম মানুষ এখনও অসুস্থ।
ইউরোপের আরেকটি দেশ ভিন্নপথে করোনা মোকাবিলা করে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ইউরোপের সবগুলো দেশে কঠোর লকডাউন জারি করা হলেও সে পথে পা বাড়ায়নি সুইডেন।
সেখানে জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। শুরুতে এটা বেশি প্রশংসিত হয়েছিল।
এখন দেখা যাচ্ছে, সুইডেনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তবে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে তারা অনেক ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলেছে।
করোনার এই সময়টাতে সুইডেনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া থাইল্যান্ডে মাত্র ৬৫ দিনের মধ্যে করোনা নির্মূল হয়েছে। থাইল্যান্ডে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে ৯ মার্চ।
এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত করা হয়। এপ্রিল মাস জুড়ে এই সংখ্যা ওঠানামা করেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল খুব কম।
একশ’র বেশি রোগী ধরা পড়েছে শুধু একদিন। গত দু’দিনে থাইল্যান্ডে কোনো নতুন রোগী ধরা পড়েনি।
তবে থাইল্যান্ডে ১০ দিন হলো কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে। সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশাধিকার দিয়ে রেস্তোরাঁ ও পার্ক খোলা হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সার্বক্ষণিক হিসাব রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যে দেখা যায়, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি লোক। এর মধ্যে তিন লাখ ৫ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
(খবর : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স ও আলজাজিরা)