মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাজারের সব ব্যবসায়ী এবং দোকানের কর্মচারীরা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। ঈশ্বরদী বাজারের ১ নম্বর গেট থেকে মিছিলটি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। মিছিলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বাজার খুলে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তারপর ১১টার সময় উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। এই সময় করোনা সংক্রমণ রোধে মার্কেটে জটলা ভিড় বন্ধ ও সামাজিক-ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা শর্তাবলী পালনে কড়াকড়ি নির্দেশনা এবং মার্কেটে পুঁজি খাটিয়ে লোকসানের আশঙ্কা বিষয় নিয়ে মালিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান।
মালিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান।
বাজারের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আরিফুল হক বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গত ১০ মে থেকে সরকার সারাদেশের সব মার্কেট ও দোকান খোলার অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী আমরা ঈশ্বরদী বাজারের সব ব্যবসায়ী সেদিন থেকেই দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই পাবনা জেলা প্রশাসন ও ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি না মানার কথা বলে আজ থেকে পাবনা জেলার সব উপজেলায় সমস্ত মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ঈশ্বরদী শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছিলাম না। তাই জেলা প্রশাসক মার্কেট বন্ধ করেছিলেন। আগামীকাল থেকে আবার যেনও ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি করছি।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, করোনা থেকে বাঁচতে সকলেরই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দোকান খোলার দাবিতে মিছিল বের করায় তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ইউএনও শিহাব রায়হান বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু পাবনা বা ঈশ্বরদীতে নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তারপরও বিষয়টি পাবনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।
গত ১০ মে থেকে সরকারি আদেশ অনুযায়ী সীমিত আকারে মার্কেট খোলা রাখা হলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৯ মে উপজেলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাবনা জেলা প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।