বাংলাদেশমুখী প্রায় প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় প্রথম আঘাত হানে সুন্দরবনে।বাংলাদেশের ‘ফুসফুস’ খ্যাত এই ম্যানগ্রোভ বন প্রতিবারই বুক চিতিয়ে লড়াই করে রক্ষা করে বাংলাদেশকে।
কমে যায় প্রাণহানি এবং সম্পদহানির পরিমাণ। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও বুলবুলের ক্ষত এখনও কাটেনি। এবার ধেয়ে আসছে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’।
আবারো মায়ের আঁচলের মতো বুক পেতে উপকূলীয় এলাকার মানুষ ও সম্পদ রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।
সোমবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্রমশই শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল রূপ ধারণ করে অগ্রসর হয়েছে।
স্থলভাগে এর আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের সুন্দরবন অংশ। আঘাত হানার সময় গতিবেগ থাকতে পারে ১৪০-১৬০ কিলোমিটার।
এর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ২১০৯ সালের ১০ নভেম্বর সুন্দরবনে বাধা পেল।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আম্ফানের সেন্টার যদি সুন্দরবন হয়, তাহলে তো ওই স্পিডে (১৪০-১৬০ কিলোমিটার) কোনো ক্ষতি হবে না। ওই সেন্টার যদি আবার পটুয়াখালী হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হবে। এজন্য আগে লোকেশন ঠিক করতে হবে। সেজন্য লোকেশনকে ফিক্সড (স্থান) করার পরে স্পিডের (ঘূর্ণিঝড়ের গতির) কথা আসবে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, সুন্দরবন এমন একটি প্রাকৃতিক সম্পদ যেটা কোনো কারণে ধ্বংস হলে সেটি আর আমরা তৈরি করতে পারব না। এই বন বাংলাদেশকে মায়ের মতো আগলে রাখে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৈব-দুর্বিপাক থেকে আমাদের রক্ষা করে। এবারও বাংলাদেশকে বাঁচাতে প্রস্তুত সুন্দরবন।