বরাবরই উদ্যোক্তাদের ক্রিয়েটিভিটি (সৃজনশীলতা), ক্রিটিক্যাল থিংকিং (একটার সঙ্গে আরেকটার জোড়া লাগানোর মতো জটিল চিন্তা করার সক্ষমতা), কোলাবরেশন (সহযোগিতা) গুণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এবার এরসঙ্গে যুক্ত হলো আরো নতুন দুইটি ‘সি’। এগুলো হলো কো- ক্রিয়েশন এবং কো-ইনভেস্টমেন্ট। অর্থাৎ যৌথ উদ্ভাবন ও যৌথ বিনিয়োগ।
প্রযুক্তি সেবা উদ্যোক্তাদের জন্য এই ৫টি ‘সি’ এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেবা.এক্সওয়াইজেড এর পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এই পরামর্শ দেন তিনি।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে, গুগল, মাইক্রোসফট এর মতো কোম্পানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মেধা এবং সকল পরিস্থিতি (দেশে) বিদ্যমান।
এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “যাদেরকে একসময় যাদের হাত ধরিয়ে আমরা হাঁটা শুরু করিয়েছিলাম, আজকে কিন্তু সেবা এক্সওয়াইজেড শুধুমাত্র হাঁটা শিখেই যায়নি, তারা কিন্তু একসাথে নিয়ে অনেককে দৌড়ায়ে মনে হয় সামনের দিকে আগায়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “সরকার আসলে অভিভাবকের মতো কাজ করছে। ফ্যাসিলেটেটরের ভূমিকা পালন করছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের তরুণ স্টার্টআপরা কিন্তু সরকারের সহযোগিতার আশায় বসে নেই। তারা নিজেদের মেধা, যেগ্যেতা, দক্ষতা এবং তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে আরো শক্তিশালী হচ্ছে।”
অ্যাপল কোম্পানি যখন দেউলিয়া হওয়া পথে, ভীষণ ভাবে সঙ্কটে পড়েছিলো, সেইসময়ে (১৯৯৭ সালে) মাইক্রোসফটের বিলগেটস তখন দেড়শ মিলিয়ন ডলার নিয়ে নন ভোটিং শেয়ার কিনে অ্যাপলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর অ্যাপল ঘুড়ে দাঁড়ায়। আর আজকে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
সবসময় অর্থায়ন বা বিনিয়োগ করে একটা ব্যবসায়কে সফল করা যায় না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, “অনেক সময় নীতিগত সহায়তার প্রয়োজন হয়। পলিসি সাপোর্ট দিলে যেটা হয়, তার চেয়ে কোনো ট্যাক্স, ভ্যাট, কোনো ক্লিয়ারেন্স বা পেট্রোনাইজেশন যদি পায়, তাহলে সেই স্টার্টআপ অনেক দূর এগিয়ে যায়।”
এসময় সিংড়ার নিজ বাসা থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত প্রতিমন্ত্রী জানান, এক কোটি টাকার তহবিল নিয়ে অন্যান্য স্টার্টআপদের জন্য কাজ শুরু করছে। এর পাশে সরকারও থাকছে।
অনুষ্ঠানে সেবা.এক্সওয়াইজেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদনান ইমতিয়াজ হালিম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা গোলাম সামদানি ডন, নারী উদ্যোক্তা টিনা মেহজাবিন প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।