ঈশ্বরদীতে সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কলেজ ছাত্রী এবং এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়ন চরমিরকামারী পশ্চিমপাড়া (ওয়াপদা গেট) এলাকায় কলেজ ছাত্রী খাইরুন্নাহার শাপলা (২৩) এবং একই ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের শ্রমিক আব্দুল বারী মালিথা (৫৫) নিহত হন।
নিহত কলেজ ছাত্রীর ফুফাতো ভাই সাজেদুল হক জানান, বুধবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবের ওই রাতের পর বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে জয়নগর ওয়াপদা গেটের সম্মুখে তার মামাতো বোন খাইরুন্নাহার শাপলা বাড়িতে টিউবওয়েলে সংযুক্ত পানি তোলার জন্য মোটরের সুইচ অন করতেই বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জানান, ঝড়ের কারণে রাতে ওই বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জায়গাটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল তা বাড়ির লোকজন পূর্ব থেকে কেউই তা বুঝতে পারেননি।
নিহত ওই কলেজ ছাত্রী ঈশ্বরদী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ফাইনাল বর্ষের পরিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার আব্দুল খালেক বিশ্বাসের মেয়ে।
অপর ঘটনাটি ঘটেছে ভাড়ইমারী গ্রামে। ঐ এলাকার সাবেক এমপি আব্দুল বারী সরদারের ছেলে কাজল সরদার বলেন, ওই গ্রামের মৃত হারেজ উদ্দিন মালিথার ছেলে আব্দুল বারী মালিথা আজ সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জানান, আব্দুল বারী মালিথা স্থানীয় একটি রাইচ মিলের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন।
আজ সকালে ওই গ্রামের উত্তরপাড়ার নুর আমিন প্রামাণিকের ছেলে পিয়াস ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য বারী মালিথাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেই বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের সময় বারী মালিথা ১১০০০ কেভি তারের সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরে লোকজন বাঁশের মাধ্যমে ধাক্কা দিয়ে তাকে নীচে নামান। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল বারী মালিথার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ঈশ্বরদীর একই ইউনিয়নে দুইজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।