মৌলভীবাজারে পুলিশের পাঁচজন সদস্য করোনা জয় করে কর্মস্থলে ফিরেছেন। এ জেলায় পুলিশের আরও দুজন সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
করোনাজয়ী পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন মো. শাহজাহান মিয়া, মো. ইমাদ হাসান, ধ্রুব জ্যোতি, মো. আফজাল হুসাইন ও মো. নুরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে শাহজাহান, ইমাদ ও নুরুল কুলাড়াউড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। বাকি দুজন জুড়ী থানার।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় প্রথম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর কুলাউড়া, জুড়ী ও রাজনগর থানার সাতজন পুলিশ সদস্যের করোনা ধরা পড়ে। তাঁদের সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে পরপর দুবার নমুনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসায় পাঁচজনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। একজনের প্রথমবার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাঁর দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। অপরজনের চিকিৎসা চলছে। তিনিও স্বাভাবিক আছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্যরা যখন অসুস্থ হন, তখন তাঁদের মনোবল ধরে রাখা বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তাঁদের মনোবল ঠিক রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার (এসপি) স্যার নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। তাঁদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে তাঁদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সাহায্য করেছি। তাঁদের মনোবল ভালো ছিল। এখন তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন।’ তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলার জন্য পুলিশের বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নেই। তবু পুলিশ সদস্যরা দৃঢ় মনোবল নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে এসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে প্রথমে দরকার মনোবল। এ ছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দরকার। আমি এ দুটি জিনিস নিশ্চিত করেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন সময় কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। যেন তাঁরা বুঝতে পারেন, সবাই তাঁদের পাশে আছে। মানসিক শক্তি দিয়েছি। তাঁদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। যতই ঝুঁকি থাকুক, দেশপ্রেম বুকে নিয়ে পুলিশ কাজ করে যাবে।’