শারমিনের বিয়ে হয়েছিল এক বছর হল। এর মধ্যেই স্বামীর পরকিয়া শুরু হলে শারমিনের কানেও আসে। বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে সুরাহা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় সে। তারপরই শারমিনকে সরিয়ে দেয়া হলে পৃথিবী থেকে।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের শংকরদী গ্রামে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী শারমিন আক্তারকে (২০) হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আকাশ শেখের বিরুদ্ধে। কুমার নদীর পাড় থেকে শারমিনের লাশ শনিবার দুপুরে উদ্ধার করেছে রাজৈর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী আকাশ শেখকে আটক করেছে রাজৈর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গেছে, শুক্রবার সকালে ঈদের কেনাকাটার জন্য বাপের বাড়ি শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি থেকে শারমিনকে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সরমঙ্গল শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে স্বামী মোবাইল করে স্ত্রী শারমিনকে ঈদের বাজার করার জন্য টেকেরহাট আসতে বলে। শারমিন স্বামীর মোবাইল পেয়ে টেকেরহাটের উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শনিবার দুপুরে পরিবারের লোকজন স্থানীয়ভাবে জানতে পারে কুমার নদীর তীরে একটি লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের লোক শনাক্ত করে এটা শারমিনের লাশ।
এক বছর পূর্বে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামের শাহজালাল শেখের ছেলে আকাশ শেখের সাথে শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি গামের আয়নাল ভূইয়ার মেয়ে সারমিনের বিয়ে হয়।
শারমিনের ভাই সিরাজ ভূইয়া বলেন, এলাকার এক মহিলার সাথে আকাশের পরকীয়া প্রেম চলছিল। এ অবৈধ প্রেমে বাঁধা দেয়ায় আকাশ আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার শওকত জাহান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং স্বামী আকাশ শেখকে আটক করা হয়েছে।