যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধ আবার শুরু হবার আশঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভুগতে হবে চীন এবং আমেরিকা উভয়কেই। এরকম সময়ে চীনে কারখানা করলে সেখান থেকে পণ্য অন্য দেশের রপ্তানি করা কঠিন হবে। সেই সাথে সাপ্লাই চেইন নিয়েও পড়তে হতে পারে বিড়ম্বনায়।
এরকম সময়ে চীন থেকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের কারখানা তৃতীয় কোন দেশে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে। জাপান সরকার জাপানিজ কোম্পানি গুলোকে অর্থ এবং অন্যান্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত কারখানা সরিয়ে আনার জন্য।
চীনে রেজিস্ট্রেশন করা জাপানিজ ৬৯০ টি ফার্মের ভেতর ৩৪ টি ফার্ম জাপানিজ সরকারের সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে স্থানান্তর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের একাধিক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছে এবং চীন সূত্রেও এমন আভাস পাওয়া যায়। এছাড়া জেট্রো অফিশিয়াল বাংলাদেশকে সম্ভাব্য বিনিয়োগ বান্ধব দেশ হিসাবে চিহ্নিত করার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও চীনে নিযুক্ত জেট্রো অফিসিয়া কারা কারা বাংলাদেশে আসতে চাইছে সেই ব্যাপারে এখনি তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
সম্ভাবনা থাকায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ২ হাজার একর জমি তৈরি রাখা হচ্ছে। ২০২১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাপানিদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য আরও ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চীন থেকে চলে আসা ২ টি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপন করেছে। নতুন করে এই ৩৪ প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে আলোর মুখ দেখছে অর্থনীতিবিদরা।