করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিজনিত কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদের নামাজ ঈদগাহে না পড়ে মসজিদে পড়ার নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না সৈয়দ আলী। না মানার পক্ষে অজস্র যুক্তিও উপস্থাপন করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর গ্রামের মৃত ইসরাইলের পুত্র সৈয়দ আলী (৫৫) স্থানীয় ঈদগাহে একাই নামাজ আদায় করেন।
সোমবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় তিনি একাকী নামাজে দাঁড়ালে পথচারীদের মধ্যে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। তারা নামাজের পর তাকে ঘিরে রাখেন ও বিভিন্ন প্রশ্নবাণে আক্রমণ করেন। তিনি সাবলীলভাবে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কোন মসজিদেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ হচ্ছে না। একে অপরের গা গেসে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়, মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার না করা, মাস্ক না পরে মসজিদে আসাসহ অনেক অনিয়ম হয়েছে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করাতো দূরে থাক একজনের পায়ে আরেকজন পা লাগিয়ে দাঁড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় তিন-চার মসজিদ ঘুরে পরিস্থিতি দেখে পরে একাকী ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়বার সিদ্ধান্ত নেই।
নামাজ শেষে করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করেন।