সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের ভিডিও। প্রথমে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে তা প্রচার হয় সংবাদমাধ্যমে। এ নিয়ে যেমন চলছিলো আলোচনা তেমনি সমালোচনা। অনেকে সরকারের সমালোচনা করে বলেন দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে সরকার সহায়তা করে নি যার দরুন এই পরিস্থিতির শিকার হয় এলাকাবাসী।
কিন্তু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসলো আজ। খুলনার কয়রায় জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। সেখানে ইমামতি করেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর তমিজ উদ্দিন।
কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহসিন রেজা জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের অনুরোধে সোমবার (২৫ মে) স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণের জন্য হাজির হয়েছিলেন স্থানীয়রা। হঠাৎই ঘোষণা হয় পানির মধ্যেই ঈদ জামাতের। বাঁধ নির্মাণের আড়ালে রাজনৈতিক সক্রিয়তা দেখিয়েছে জামায়াত-শিবির। আর তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মদদ দিয়েছেন খোদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
এছাড়াও একাধিক স্থানীয় নেতা জানান, আমাদের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনি মদদ দিয়েছেন। মূলত তার কারণে জামায়াত-শিবির এই সুযোগ পেয়েছে। কেননা বাঁধের আড়ালে তাদের লক্ষ্য ছিল সবাই একত্র হবে। অন্যদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ ঘিরে অনুষ্ঠিত ওই ঈদ জামাতে কয়েকশ’ মানুষ অংশ নিলেও মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার জানান, ‘আমাদের বলা হয়েছিল বাঁধ নির্মাণ হবে। তাই আমি নিজে সেখানে পরিদর্শনে যাই। তবে পানির মধ্যে নামাজ পড়ার বিষয়টি জানা ছিল না।’