চলমান লক ডাউনের ফলে গনপরিবহন বন্ধ থাকায়
বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়তি গাড়ির চাপ সামলাতে গলদঘর্ম হয়ে পড়া ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ব্যস্ততাও যেন কমে গিয়েছে অনেকটা!
ঈশ্বরদী উপজেলা ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা প্রতি ঈদেই কঠোর পরিশ্রম করে সড়ক ও মহাসড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখার চেষ্টা করেন।
ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া-পাবনা, ঈশ্বরদী-ঢাকা, রূপপুর-কুষ্টিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে দায়িত্ব পালন করেন তারা। তবে এবার নেই কোন যানজট কিংবা গাড়ির চাপ।
তবে প্রতি বছর ঈদের মধ্যে বা ঈদের আগেপরে মিলিয়ে সীমিত আকারে ছুটি পেলেও এবার একেবারেই করোনার কারণে ছুটি নেই তাদের।
তবে এর মধ্যেও দায়িত্ব পালন করতে পেরে আফসোস নেই জানিয়ে বরং সড়কে দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার দিন বিকেলে আলাপকালে এসব তথ্য জানান উপজেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) নাজিমুল ইসলাম।
তিনি জানান, আমরা তো সারাবছর সড়কেই দায়িত্ব পালন করি। কি রোদ, কি বর্ষা, কিংবা ঈদ কিংবা অন্য কোন ছুটি। তবে অন্যান্য ঈদে আগে পরে সীমিত আকারে ছুটি পেলেও এবার একেবারেই সেটি নেই।
আমরা যেহেতু সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে থেকে দায়িত্ব পালন করছি তাই পরিবার থেকে আলাদাই ঈদ পালন করছি।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর এ সময়ে ঈদের আগে যানজটের কারণে একেবারেই সড়কগুলোতে নাজেহাল অবস্থা থাকে। ফলে দম ফেলার ফুরসত থাকে না আমাদের। তবে এবার সেই অবস্থা নেই।
মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা। পরিবারের সকলকে স্মরণ করা আর তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের মধ্যেই এবার আমাদের ঈদ পালিত হয়েছে। তবে আমরা গর্বিত কারণ আমরা দেশের নাগরিকদের সেবায় কাজ করছি।