সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্র’তিবাদ চলছে সব মহলেই। একাধিক রাজনৈতিক নেতা থেকে সেলিব্রিটি হয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরাও শামিল হয়েছেন মোদী সরকারের নয়া আইনের বি’রুদ্ধে। এর মধ্যে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে লাঠিচার্জ করে ছিল পুলিশ।
এই ঘটনায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। দেশজুড়ে বি’ক্ষোভ প্রদর্শন হিং’সাত্মক রূপ নেয়। চিত্রতারকা থেকে শিক্ষাবিদ, প্রত্যেকেই পুলিশের ভূমিকার প্রবল নি’ন্দা করেছেন। তা সত্ত্বেও বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে প্র’তিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
কিন্তু এবার সেই বেঙ্গালুরু পুলিশেরই একাংশ সিএএ এবং এনআরসির প্র’তিবাদে ধর্নায় বসেছে। এই পুলিশকর্মীদের বক্তব্য, নিরীহ মানুষের ওপর আর লাঠি চালাতে পারবেন না তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি এই মুহূর্তে প্রবল ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের খাকি উর্দি একদল পুলিশকর্মী মাটিতে বসে স্লোগান দিচ্ছেন।
তাঁদের কারও কারও হাতে প্ল্যাকার্ড। তাতে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী স্লোগান লেখা। একজনের হাতের কাগজে হিন্দিতে লেখা, নিরীহদের ওপর লাঠিচার্জ আমাদের দ্বারা হবে না। এখনও পাকা খবর না জানা গেলেও, মনে করা হচ্ছে তাঁরা বেঙ্গালুরু পুলিশের নিচুতলার কর্মী।
এমনও খবর আসছে যে এই পুলিশকর্মীরা প্র’তিবাদকারীদের সমর্থন করছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে যখন পুলিশের নিষ্ঠুরতার খবর আসছে তখন বেঙ্গালুরুর বিপরীত চিত্রটি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ।
মাহাথিরের মন্তব্যে চটেছে ভারত, মালয়েশিয়ার কূটনীতিককে তলব
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদের মন্তব্যে ক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। এ ঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান কূটনীতিককেও তলব করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে তাদের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে জানিয়েছে।
মাহাথির মোহাম্মাদ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন বলে ভারত দাবি করেছে। শুক্রবার কুয়ালালামপুর সামিট-২০১৯ এ দেয়া এক ভাষণে ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মাহাথির মোহাম্মাদ।
তিনি বলেন, কোনো সমস্যা ছাড়াই তো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ ভারতের নাগরিকরা গত ৭০ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করছেন। তাহলে এখন এই আইনের প্রয়োজন কি? উল্টো আমরা দেখছি এই আইনের বিরোধিতা করে ভারতে বি’ক্ষোভ-সং’ঘাতে মানুষ মারা যাচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইনে ধর্ম টেনে আনাকে নিন্দা জানিয়ে সম্মেলনে মাহাথির আরো বলেন, আমি দুঃখিত আমাকে এটা বলতে হচ্ছে যে, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ভারত কিছু মুসলিমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।