করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সীমিতভাবে গণপরিবহনও চালু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
করোনা মোকাবিলায় গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যাবহারকারীদের বেশ কিছু নির্দেশন মানতে হবে।
বুধবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসব কারিগরি নির্দেশনা তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
> কোথাও যাওয়ার পূর্বে ব্যক্তিগত গাড়িতে সুরক্ষা সরঞ্জাম যেমন, মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুনাশক রাখতে হবে।
> গাড়ির ভেতর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং চলাচলের সময় গাড়ির জানালা খোলা রাখতে হবে যেন বায়ু চলাচল করতে পারে
>> ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধির (যেমন- হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢাকা কিংবা কনুইয়ের ভাজে হাঁচি দেয়া) ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। জনসাধারণের মাঝে থেকে গাড়িতে আসার পূর্বে চালক এবং যাত্রীকে সময়মত জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
>> যদি কোনো যাত্রীর সন্দহজনক উপসর্গ, যেমন- সর্দি বা জ্বর থাকে, সেক্ষেত্রে গাড়ির সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাত্রী গাড়িতে ওঠার পর ভেন্টিলেশন রক্ষার্থে গাড়ির সব জানালা খুলে দিতে হবে। সন্দেহজনক উপসর্গ থাকা ব্যক্তিটি যে সব বস্তুর সংস্পর্শে এসেছিলেন (যেমন- দরজার হাতল, গাড়ির সিট ইত্যাদি) জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। তার সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও পরিষ্কার করতে হবে।
>> যাত্রী যদি বমি করে, সেই ক্ষেত্রে (Disposable Absorbant material) নিষ্পত্তিযোগ্য শোষণকারি উপাদান যাতে জীবাণুনাশক (ক্লোরাইডযুক্ত জীবাণুনাশক) দেয়া বা জীবাণুনাশক টিস্যু দিয়ে ঢেকে ফেলে দিতে হবে। তারপর উক্ত জায়গা পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।