জ্যোৎস্না রাতের কান্না

আজ আকাশে মস্ত বড় চাঁদ,
চকচক করছে গাছের পাতা, সবুজ মাঠ।
পুকুরের জল যেনো ঢেউ খেলছে,
জোনাকিরা মিটমিট করছে,
আহ্, প্রকৃতি।

আচ্ছা, তুমি কি এখনো এমন রাতগুলোতে ফুপিয়ে-ফুপিয়ে কাঁদো?
আমার পাশে বসে নাক ফোলাতে চাও?
হয়তো চাও, হয়তো বা না।

প্রথম যেদিন তোমাকে নিয়ে ভরা চাঁদ দেখেছিলাম,
তোমার মনে পড়ে?
সে কি কান্না তোমার, বাবা!
আর আমি, তোমার চোখের জল দেখে পাগল কান্না!
কি ছেলে মানুষই না করতাম আমরা, বলো?
বড্ড ছেলেমানুষি।

তোমার মনে পড়ে (?), কেনো কাঁদছিলে,
নিশ্চয় বলবে, সুখে, পরম সুখে!
সত্যিই তাই, আমরা খুব আনন্দে কান্না করতাম।
কি বোকা ছিলাম, বলো?
বড্ড বোকা।

এখনও কি এমন করে কাঁদো?
অন্য কারো বুকে মুখ লুকিয়ে, নাক ফুলিয়ে।
হয়তো কাঁদো, হয়তো বা না।

তোমার তো এখন ঢেড় ব্যস্ততা,
আজ এ দেশ, কাল অন্য দেশ,
এ যেনো ব্যস্ততার মায়ায় বন্ধি!

থাক,
বাদ দাও এ পাগলের বকবকানি,
সর্বদা ভালো থেকো,
হয় কেঁদে কিংবা হেসে।

ভূলে যাও সকল অতীত,
জীতে নাও সফল ভবিষ্যৎ।

লেখকঃ সুজন কুমার মিত্র, সাহিত্যিক।