চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর অভিযোগও আমরা পাচ্ছি। দেশের সকল বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের প্রতিষ্ঠান সমূহ খুলে দিতে হবে। কিভাবে রোগী ভর্তি ও সেবা দিতে হবে এ বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমন একটি সময়োপযোগী ফেইসবুক পোষ্ট দিয়েছন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাঁর ফেইসবুক পেইজের পোস্টটি হুবাহু তুলে ধরা হলো।
দেশের সকল বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের প্রতিষ্ঠান সমূহ খুলে দিতে হবে। কিভাবে রোগী ভর্তি ও সেবা দিতে হবে এ বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই সংকটের শুরু থেকেই চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে তারা অংগীকার করেছিলেন প্রতিষ্ঠানগুলো তারা চালু করবেন। এরপরও, বেশ কিছুদিন ধরে অনেক অযৌক্তিক কারণ, কিছু ব্যক্তি দ্বারা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তির কারনে অনেক প্রতিষ্ঠান চালু করা হচ্ছেনা, রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছেনা, চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর অভিযোগও আমরা পাচ্ছি।
এরই মাঝে দুটি স্থানীয় হাসপাতাল বিশেষভাবে গ্রহন করে কভিড রোগীর চিকিৎসা পরিচালনার জন্য সরকার নির্দেশনাও দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ভাবে গাফিলতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের চিকিৎসক, নার্স, হেলথ টেকনিশিয়ান সকলেই দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেই সকল কিছু নিয়ে এই চিকিৎসা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন। কিন্তু, চট্টগ্রাম ও আরো কিছু বিভাগীয় শহরে গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে এখনো অনেকে সহযোগিতা করছেননা। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল সকালে বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মালিকদের সাথে আলোচনায় বসবেন। আমরা এখনো আশা করি, মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠার আগেই, এই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোর মালিকগণ তাদের হাসপাতাল পরিচালনার শর্ত মোতাবেক, সরকারের নির্দেশনা মেনে, কোভিড, নন-কোভিড, সকল রোগিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেবেন।