নভেল করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যেও পদ্মাসেতুর ৩০তম স্প্যান বসানো সম্পন্য হয়েছে। ৫-ভি নামের এ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো মূল সেতুর ৪ হাজার ৫০০ মিটার। আজ শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে স্পেনটি বসানোর কাজ শেষ হয়।এর আগে গত ৪ মে সেতুর ২৯তম স্পেনটি বসানো হয়েছিল। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের স্প্যান বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আবহাওয়াসহ আনুসাঙ্গিক সবকিছু অনুকূলে থাকায় সেতুর ৩০ তম স্প্যানটি সকালে জাজিরা প্রান্তে পিলার-২৬ এবং ২৭ এর উপর সঠিক ভাবে স্থাপন করা সম্ভব হলো।
স্পেনটি ক্রেনের মাধ্যমে সেতুর ২৬ ও ২৭ পিলারের উপরে পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিং এর ওপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় থাকায় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা যথা সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল সারে ৯ টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নেয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর ২৬ ও ২৭ নাম্বার পিলারের কাছে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে। আবহাওয়াসহ খুটিনাটি সবকিছু অনুকূলে থাকায় শনিবার সকালেই বসলো ৩০ তম স্পেনটি।
তিনি আরো জানান, পদ্মাসেতুতে ৩০তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলে আর বাকি থাকবে মাত্র ১১টি স্প্যান স্থাপনের কাজ। আগামী জুন মাসের যে কোন দিন ৩১তম স্প্যান বসানো হবে। ফাইভ-এ নামে ৩১তম স্প্যানও বসানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুল সেতুটি নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পদ্মাসেতুর কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন হবে বলে জানান এ প্রকৌশলী।