মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যত এবং সরকার তাদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছি না। কারণ, আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই যাতে তারা (শিক্ষার্থীরা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়।
আজ ৪১ মে রোববার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সাথে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাঁর মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যত এবং সরকার তাদের বিপদে ফেলতে চায় না। এ কারণে আমরা এখনই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলব না। যদি আমরা এই (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে খুলব।
বর্তমান পরিস্থিতিকে পুরো বিশ্বের জন্য সঙ্কট উল্লেখ করে সকলকে আত্মবিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে বড় বিষয়। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমাদেরকে তার মুখোমুখি হতে হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই দেশ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘূর্ণিঝড়সহ সকল সংকটের মুখোমুখি হব এবং একসাথে কাজ করব এখন যেমন করছি। একসাথে কাজ করে দেশ করোনাভাইরাস মহামারি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। এটিই লক্ষ্য এবং এটিই সরকারের সিদ্ধান্ত।’
শাটডাউন শিথিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব কিছু দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। অন্যান্য দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের অর্থনীতির চাকা খুলছে।’
এ প্রসঙ্গে জনগণের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না বিশ্বের আর কোনো দেশ এতো বিপুল পরিমাণ (এর জিডিপির সমান) প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে কিনা।’