প্রথমবারের মতো আমের জন্য স্পেশাল ট্রেনের কথা ভাবছে সরকার। এবারই প্রথম রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনে আম যাবে ঢাকায়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার রহনপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী হয়ে আম নিয়ে দুটি পার্সেল ট্রেন ঢাকার পথে চলাচল করবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিতে কেজিপ্রতি আমের ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে ভাড়া এক টাকা ১৭ পয়সা।
রাজশাহীর আমবাহী বিশেষ পার্সেল ট্রেন ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ১, ২’ ট্রেন দুটি সপ্তাহের প্রতিদিন চলাচল করবে। আর আমের পাশাপাশি সব ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, ডিমসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্যও এতে পরিবহন করা হবে। রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানোর পর ব্যবসায়ীদের সুবিধামতো স্টেশনে ট্রেন থামানো হবে।
গত মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ। তিনি বলেন, এর আগে কখনো ট্রেনে এভাবে আম ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়নি। করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম চাষিদের সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘ম্যাংগো স্পেশাল-২’ ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকাল ৪টায় এবং রাজশাহী থেকে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। অন্যদিকে, ‘ম্যাংগো স্পেশাল-১’ ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা থেকে দিনগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
এর আগে করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচু ও অন্যান্য মৌসুমী ফল বিপণন এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে গত ১৬ মে ভিডিও কনফারেন্সে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সেদিনই ট্রেনে আম পরিবহনের কথা ওঠে। এরপর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আম সংগ্রহ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে গত ২০ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আম পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেন চলাচলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে আমের রাজধানী রাজশাহী থেকে বিনা ভাড়ায় আম পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আম পরিবহন সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ‘জুম এক্সপ্রেস’র মাধ্যমে আম পরিবহনের এ বিশেষ সেবা উদ্বোধন করা হলো