ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ডাক বিভাগ ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম প্রকাশ করেন।
পরে মন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েও টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য অধীনস্থ দফতর ও সংস্থার সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬৬ সালের ছয় দফা আমাদের মুক্তির সনদ হিসেবে কাজ করেছে। দেশের নামটি প্রস্তাবনা ছাড়া স্বাধীনতা ঘোষণার সব কিছুই নিহিত ছিল এই ছয় দফায়। ছয় দফা মানেই স্বাধীনতার ঘোষণা।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আপসহীন সংগ্রামের কঠিন পথ বেয়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় বাঙালি জাতি।’ তিনি বলেন, ‘১৯৬৬ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ অনেক বাঙালি শহীদ হন।’
৬ দফার মাধ্যমেই গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিলে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মানুষ আগে থেকে তৈরি না থাকলে যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকেই প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে মহান নেতা শেখ মুজিব বাঙালির জাতি রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের যাত্রা শুরু করেছিলেন।
অভাবনীয় ত্যাগ ও নির্যাতন সহ্য করে ৬৬, ৬৮, ৬৯ সালে তিনি মহানায়কে পরিণত হন। এরই ধারাবাহিকতায় সত্তরের নির্বাচন আওয়ামী লীগের আকাশচুম্বী বিজয় এবং একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং শাহাদাৎ হোসেন, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র ভিডিওতে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।