আজ ৮ জুন সোমবার দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ৯৪৪ টি নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৭৩৫ জনের দেহে। ফলে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫০৪ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪২ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৫৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ৫০৭ জনে।তিনি আরও বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো চার লাখ ছয় হাজার। গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও সাড়ে তিন হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজারের মতো। মোট আক্রান্ত ৭১ লাখ ২ হাজার ৯৫৭ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী আজ সোমবার দুপুর ২ ঘটিকায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৭১ লাখ ২ হাজার ৯৫৭ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৮২ জন চিকিৎসাধীন এবং তাদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৭৪৮ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৪ লাখ ৬ হাজার ৩৪৩ জন রোগী মারা গেছেন।
গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে চিলি। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে প্রাণহানি ঘটছে ২১শ’। আক্রান্ত এক লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। প্রতিবেশী ব্রাজিলে প্রাণ গেছে সাড়ে ৫শ’ মানুষের। মোট মৃত্যু সাড়ে ৩৬ হাজার। আক্রান্ত প্রায় সাত লাখ।
আড়াই মাস পর করোনায় একদিনে ৪শ’র কম মৃত্যু রেকর্ড করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মোট প্রাণহানি এক লাখ সাড়ে ১২ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখ। মেক্সিকো-পেরুতেও মারা গেছেন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সব দেশেই অনেকটা কমেছে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু। স্বস্তির কথা সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩২ জন মানুষ।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।