রাজশাহী জেলায় গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর এক মাস পর ১৪ মে প্রথম রাজশাহী নগরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। অথচ জেলার মধ্যে এই নগরীই এখন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে শীর্ষে রয়েছে। দিন দিন আরো বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় সোমবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন ৮৬ জন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায়ই সর্বোচ্চ ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এটাই জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া জেলার বাঘায় ৭ জন, চারঘাটে ৭ জন, পুঠিয়ায় ১০ জন, দুর্গাপুরে তিন জন, বাগমারায় ৬ জন, মোহনপুরে ৯ জন, তানোরে ১৩ জন, পবায় ৬ জন ও গোদাগাড়ীতে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৪ জন।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের সব দোকানপাট খোলা রয়েছে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। কেনাকাটা করতেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না কাউকেই। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন। গণপরিবহনগুলোতেও বসানো হচ্ছে গাদাগাদি করে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে দেখা যায়নি। কাঁচাবাজারগুলোতেও সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। শুধু সাহেব বাজার না, নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় এলাকা, রেলগেট, হড়গ্রাম বাজার ও বিনোদপুর বাজারের চিত্রও একই। কোথাও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন লোকজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রাজশাহীকে রেড জোনে চিহ্নিত করা হলেও সেই সংক্রমণ রোধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেই সিটি করপোরেশনজুড়ে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হককে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, রেড জোন চিহ্নিত করা হলেও সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। এলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর জেলা ও নগরে প্রতিদিন মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম অভিযান পরিচালনা করছেন।