চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগির বুকে হঠাৎ ব্যথা ওঠার পরপরই তাঁকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি করা হল না। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জিইসি এলাকার বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে। সেখান থেকেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গেলেন পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে। সেখানে যথারীতি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। এরপর বিভিন্নভাবে তদবির করে যখন পার্কভিউতেই ভর্তি করানো হল, সময় তখন আর বেশি ছিল না। অল্পক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।
চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়ে অরাজকতা ও তাকে ঘিরে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই এমন অমানবিক ঘটনা ঘটলো আজ মঙ্গলবার দুপুরে। মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যে এতো সব ঘটনার পর ৫৯ বছর বয়সী শফিউল আলম ছগির মারা যান দুপুর আড়াইটার দিকে।
চিকিৎসকরাই এখন বিভিন্ন মাধ্যমে বলছেন, শফিউল আলম ছগিরের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। অথচ করোনা সন্দেহে তাকে ভর্তি নেয়নি তিন তিনটি হাসপাতাল, এর মধ্যে আছে খোদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালই। সামান্য চিকিৎসার অভাবে নির্মমভাবেই মারা গেলেন চট্টগ্রামের এই আওয়ামী লীগ নেতা।
‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে তিনি বেঁচে থাকতেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ ধরনের অমানবিকতা সহ্য করা হবে না’— এমন মন্তব্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, করেছেন সিটি মেয়রসহ অভিজ্ঞ মহল।