পাবনায় গত ১ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা মনে করছেন আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারনেই একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে।
এ ছাড়াও এ ৯ দিনে পাবনায় বজ্রপাতে ৫ জন, সড়ক দুর্ঘটনা ও ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জন ও সেভেনআপ ভেবে বিষপাণে ২ বোনের মৃত্যুসহ একজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১ জুন পাবনার আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের গাঙ্গহাটি মানিকতলা গ্রামে অন্তর নামে একাধিক মামলার আসামীকে কুপিয়ে দেহ থেকে দু’হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের শিকার অন্তর (২৫) ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, অন্তর ৪টি মামলার পলাতক আসামী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো।
গত ৫ জুন পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পশ্চিম পাশে দোতলা একটি ভবনের নিচতলা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। পরে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া বিপুল পরিমান টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার করে।
তিন লাশ উদ্ধার হওয়ার দিন ৫ জুন দিবাগত রাতে পাবনায় আরও দুজন খুন হন। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের খাঁ পাড়ায় কালু খাঁর ছেলে হুকুম খাঁ (৬৫) কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
হত্যার পরপরই সুলতান মাহমুদ নামে এক ব্যাক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে ঘটনার বর্ননা দিয়ে ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করতে দেখা গেছে।
এ রাতেই সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার মধুপুরে মজনু মিয়া (৪০) নামে এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে খুন করে সন্ত্রাসীরা। তার ঘাড়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গতকাল ৯ জুন পাবনা বাসটার্মিনাল এলাকায় একটি ৪ তলা ভবন থেকে মালেকা খাতুন নামে এক গৃহকর্মীকে ফেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনায় আব্দুল আলীম নামে ওই গৃহকর্তা পলাতক রয়েছে।