সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন করে আরও এক হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে।
আজ ১১ জুন বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সেবার পরিধি বৃদ্ধি করছি। ১০টি জেলা কার্যালয় ও স্টোরসহ ১৪৫টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ১৩ হাজার ৮১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন ১০ শয্যাবিশিষ্ট ৭০টি এমসিডব্লিউসি নির্মাণ ও আরও ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ (পুনর্নির্মাণসহ), পুরাতন দুই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক আধুনিকায়ন এবং নতুন এক হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ অনুমোদিত হয়েছে এবং একটি ট্রাস্টি গঠিত হয়েছে। ৬৫টি উপজেলা হাসপাতাল এবং ২৭টি জেলা হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এর আওতা আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ইতোমধ্যে মোট দুই হাজার ৮৫৪টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিরাপদ প্রসবসেবা এবং ৭২টি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে জরুরি প্রসূতিসেবা চালু করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র (৪০টি), ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র (২৫টি), তিনটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুমিল্লায় একটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।