সাম্প্রতিক শিরোনাম

নুর মামলাবাজ ভিপি: সাদ্দাম

রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ডাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন এ বিচার দাবি করেন। এসময় তার সাথে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে ডাকসুতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন: ‘ডাকসু ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ উক্ত ঘটনা নিয়ে নূরুল হক নুর ফের ‘সাজানো’ আন্দোলন-আন্দোলন খেলা করলে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কালক্ষেপণ করা হবে না বলে হুশিয়ারি দেন সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত এই ডাকসু নেতা। সাদ্দাম বলেন: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা বলতে চাই, ভিপি নুরের অপকর্ম গোপন করা ও তার সংগঠনের বিস্তৃতির জন্য যদি পুনরায় সাজানো আন্দোলন-আন্দোলন খেলার ক্ষেত্র তৈরি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা হয়, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়, তাহলে প্রশাসনের নিকট আহ্বান থাকবে কঠোর হস্তে তা দমন করার। এছাড়া যদি প্রশাসন তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ডাকসু কোনমতেই কালক্ষেপণ করবে না।

হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করে ডাকসু এজিএস বলেন: ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ভিপি নুর দুই পক্ষেরই দায় রয়েছে। কারোর পক্ষেই ছাত্রলীগ নেই। যারাই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলায় জড়িত নয় দাবি করে ছাত্রলীগের যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান সাদ্দাম। নুরকে মামলাবাজ ভিপি আখ্যা দিয়ে সাদ্দাম বলেন: ‘এর আগে নাটকবাজ থেকে দুর্নীতিবাজ ভিপিতে পরিণত হয়েছিলেন নুর। আর এখন শাহবাগ থানায় মামলা করার চেষ্টা করে মামলাবাজ ভিপিতে পরিণত হয়েছেন।’ তিনি বলেন: ‘এসব করে দুর্নীতির বিষয়টি আড়াল করার জন্য সিমপ্যাথি আদায় করার চেষ্টা করছে নুর।’

হামলার তথ্য-প্রমাণ গায়েব করার জন্য নুরের সহযোগীরাই সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করেছে বলেও মন্তব্য করেন ডাকসু এজিএস। তিনি এসময় আরও কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো

ডাকসু নেতৃবৃন্দ, সিনেট সদস্য সঞ্জিত চন্দ্র দাস, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, সিসি টিভি ফুটেজ উদ্ধার ও ভিপি নুরুল হক নুরের পদত্যাগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, সদস্য মাহমুদুল হাসান সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিপি নুর তাদের নামে মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন। এমনকি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও মামলার অভিযোগ পত্রে তার নাম দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন সাদ্দাম হোসেন।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...