জাতিসংঘ জলবায়ু বন্ধু কমিটিতে বাংলাদেশ।জাতিসংঘের ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স সংক্রান্ত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসের স্টিয়ারিং কমিটিতে সদস্য হিসেবে যোগ দিল বাংলাদেশ।
আজ ১৩ জুন শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিশরের পরিবেশমন্ত্রী ড. ইয়াসমিন ফুয়াদ এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্যারনেস সাগ আহ্বায়ক হিসেবে গ্রুপটির উদ্বোধন করেন। স্টিয়ারিং কমিটির অন্যান্য সদস্য দেশ হলো— নেদারল্যান্ডস, মালাওয়ি ও সেন্ট লুসিয়া।
এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহ জলবায়ু অভিযোজন, প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জন, কার্যকরী দৃষ্টান্ত ও উল্লেখযোগ্য মাইলফলকগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারবে। এছাড়া অংশীজন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ থেকেও নানা ধারণা গ্রহণ করার সুযোগও থাকবে এই প্লাটফর্মে।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের অঙ্গীকার ও গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করাসহ ইউএনএফসিসিসি-এর নেগোসিয়েশন সংক্রান্ত কাজেও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস।
উল্লেখ্য, ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষেত্রে অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও অনুঘটক হিসেবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সম্মেলনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরইএপি (Risk-informed Early Action Partnership) শীর্ষক বৈশ্বিক পদক্ষেপের উদ্বোধন করেন।
ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসের এই ভার্চুয়াল উদ্বোধনীতে অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ জলবায়ু-নাজুক দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার ক্ষেত্রে ‘অভিযোজন’এবং ‘ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জন’হলো মূল বিষয়। বৈশ্বিকভাবে ‘অভিযোজন ও সামর্থ্য অর্জন’ প্রচেষ্টাসমূহে আরও বেশি অর্থায়ন এবং প্রযুক্তির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।