মোঃইয়াসিন,সাভারঃ
জনবসতিপূর্ণ সাভারের আশুলিয়ায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।এদের অধিকাংশ বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রেনী পেশার মানুষ।পোশাক শিল্প অধ্যাষিত এলাকা হওয়ায় এখানকার ৭০ভাগ মানুষ পোশাক শিল্পে কর্মরত রয়েছে।এখানে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি লক্ষ করা যায় উপজাতিক বহু পরিবারের।এদের একটি অংশ গারো জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০০টি পরিবার আশুলিয়ার গাজীরচট সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস। এসব পরিবারের সদস্যরা ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজ করেন।
অনেকে আবার বিভিন্ন বিউটি পার্লার সহ নানা প্রকারের কায়িক পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।তবে চলমান বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর আক্রমনে স্থম্ভিত হয়ে পরেছে এই পরিবারগুলোর সামনে, কর্মহীন হয়ে পরেছে অনেকে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সকলের বেতন ৬০ শতাংশে নেমে আসা সহ কর্মী ছাটাইয়ের ফলে এ সকল উপজাতি গোষ্ঠী হয়ে পরেছে কোনঠাসা, হঠাৎ আয়ের পথ বন্ধপ্রায় হয়ে পরায় বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। শিশু সন্তানদের খাবার কেনার সামর্থ্যও হারিয়েছেন অনেকে।এমন পরিস্থিতিতে গারো জনগোষ্ঠীর ৬০টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সুপারশপ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্বপ্ন’।
গত বুধবার (১০ জুন)কোনঠাসা উপজাতী পরিবারের খাদ্যের সংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা করছে স্বনামখ্যাত এ সুপার শপটি।
সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের অংশ হিসেবে নেয়া উদ্যোগে সংকটে থাকা ৬০টি গারো পরিবারকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টি চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছে ‘স্বপ্ন’। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়া গারো পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে। আবুল খায়ের কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড এর পক্ষে শিশুদের গুড়ো দুধ স্পন্সর করেছে।
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, অভুক্ত শিশুদের শরীরের ছবি দেখে আমাদের পার্টনার প্রতিষ্ঠানদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করলাম। এরপর সকলে মিলে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করলাম। আর সামনেও যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করবো।