করোনাভাইরাসে দেশের মানুষ যখন বিপর্যস্ত তখন তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সূর্যের হাসির অধিকাংশ ক্লিনিক পহেলা জুলাই থেকে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে চাকরি হারাচ্ছেন এই ক্লিনিকগুলোর দুই হাজার কর্মী। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
১৯৯৭ সাল দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে দেশের ৬৪টি জেলায় ৩৯৯টি সূর্যের হাসি ক্লিনিক নামে সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে তৃণমূলের প্রায় তিন কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে। আগে ক্লিনিকগুলো ২৬টি এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ২০১৮ সাল থেকে এনজিওগুলোকে বিলুপ্ত করে ৩৯৯টি ক্লিনিকের মধ্যে ৩৬৯টি ক্লিনিক নিয়ে সূর্যের হাসি নেটওর্য়াক দায়িত্ব গ্রহণ করে। চলতি বছর দেশের ১৫৮টি ক্লিনিক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এতে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণকারী নিম্নআয়ের ও হতদরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হবে বলে মনে করছেন এই এনজিও নেতা।
এনজিও ফেডারেশন সভাপতি বেলাল আহমদ বলেন, যারা বাংলাদেশে তিন কোটি মানুষকে সেবা দেয় তাদের দুই তৃতীয়াংশ কিন্তু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে অনেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির মাঝে চাকরি হারাচ্ছেন দুই হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। চাকরিহারা এই কর্মীরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ক্লিনিক ম্যানেজার মো. তাজ উদ্দিন বলেন, মানবতার মা, আপনি আমাদের এই সূর্যের হাসি ক্লিনিকের বেআইনি আদেশকে স্থগিত করে আমাদের চাকরিতে বহাল রাখবেন।