চলমান করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করলেন বাংলাদেশ পুলিশের আরও দুই গর্বিত সদস্য। তাদের একজন হলেন, সাব ইন্সপেক্টর এস. এম. মুকুল মিয়া (৫৫)। অপরজন কনস্টেবল মোঃ আবুল হোসেন আজাদ (৫১)।
সাব ইন্সপেক্টর এস. এম. মুকুল মিয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের খিলগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ভাড়া করা রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার চরকুলী গ্রামে।
কনস্টেবল মোঃ আবুল হোসেন আজাদ
করোনাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ০৪.১২ মিনিটে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের আজমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন জয়পাশা গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে উভয় পুলিশ সদস্যের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত একজন সিভিল সদস্য ও একজন র্যাব সদস্যসহ মোট ২৭ জন সদস্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে প্রাণ দিলেন।