করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ১০ চিকিৎসক এবং একজন স্টোর কিপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই ১০ চিকিৎসকসহ ১১ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। তাদের জায়গায় আরও ১০ চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত করেন।
চসিকের সচিব স্বাক্ষরিত অব্যাহতি পত্রে অব্যাহতি প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসাররা হলেন, ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আকতার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিত মিত্র, এবং ষ্টোর কিপার মহসিন কবির।
চসিক সূত্রে প্রকাশ, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ১৬ জন চিকিৎসক এবং নার্স ও ব্রাদার, আয়া, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।তাঁরা সবাই চসিক পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মী। আইসোলেশন সেন্টার চালুর আগে তাঁদের তিন দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সিটি কর্পোরেশন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রশিক্ষণ দেন। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের প্রশিক্ষণে ১০ চিকিৎসক এবং একজন স্টোর কিপার অনুপস্থিত থাকেন। অবশ্য ৬ চিকিৎসক বাকিরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন। টানা তিন দিন অনুপস্থিত থাকায় সিটি মেয়র ক্ষুব্ধ হন। গতকাল বিকালেই তিনি ১০ চিকিৎসক ও ১ স্টোর কিপারকে চসিকের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, তারা শপথ ভঙ্গ করেছে। তাদের দায়িত্ব হল রোগীর পাশে দাঁড়ানো। এই কঠিন সময়ে তারা দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করতে পারেনা। সারাদেশে হাজারো চিকিৎসক মানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চসিকের যেসব চিকিৎসক শপথ ভঙ্গ করে রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর অনীহা প্রকাশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের শুধু চাকরি করছেন তা নয়, দেশের অন্যান্য নাগরিকদের ন্যায় জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের উচিত ছিল মানবতার পাশে দাঁড়ানো। যারা মানবতার পাশে দাঁড়ায় না, জাতির ক্রান্তিলগ্নে পিছু হটে সেসব চিকিৎসকের প্রয়োজনীয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নেই।
সিটি মেয়র আরও বলেন, চিকিৎসকদের অব্যাহতি দেয়া হলেও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের আইসোলেশন সেন্টারের সেবা কার্যক্রম চলবে। সেখানে নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে এক সঙ্গে ২৫০ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছি। রোগীদের ওষুধ ও খাবার চসিক বহন করবে।