করোনার ভয়াবহতায় নাটোর। ক্রামাগত করোনা নতুনতুন সংক্রমনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সকলের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। গত ১৮ জুন পর্যন্ত করোনা মোট আক্রান্ত ছিল ১০৩ জন পর্যন্ত। এরপর মাত্র ৩দিনে এ সংখ্যা বেড়ে মোট আক্রান্ত দাড়িয়েছে ১৪৮ জনে।এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫১ জন। এখন প্রায় প্রতিদিনই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহভাবে। প্রায় প্রতিদিনিই থাকছে করোনা পজেটিভের নতুন নতুন খবর ।
সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় গত ২৮ এপ্রিল প্রথমে ৮জনের করোনা শনাক্ত হয় নাটোরে। এই ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর পরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে বাড়তেই থাকে সংখ্যা। গত ২৮ এপ্রিল থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৪৩ দিনে করোনায় আক্রান্ত হন ৭১ জন। এরপর ১৭ জুন থেকে ১১ দিনে এস সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুনের ও বেশী ১৪৮ জন শানক্ত হয়। । গাণিতিক হারে এই বৃদ্ধির হার বিপজ্জনক। এই হারে (কোভিড-১৯ ) করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে নাটোরে নেমে আসবে ভয়াবহ বিপর্যয়। যেটা পার্শবর্তী বগুড়া জেলাকে গ্রাস করেছে । সুতরায় সাবধানতা এবং সতর্কতার সাথে আমাদের প্রত্যকের চলা ফেরা করার বিকল্প নেই ।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল ২৭ জন ২০ এপ্রিল ৮জন এবং ২১ এপ্রিল ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সব থেকে দুঃখ জনক গত তিনদিনে ২ শিশু করোনায় আ্রকান্ত হয়েছেন। বাদ যাননি স্বামী স্ত্রী ভাই ও সন্তান।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। আক্রান্তের তালিকায় সরকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মি ,ব্যাংক কর্মকর্তা, গৃহিনীসহ সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ফলে সবার ভিতরে বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। সমাজ সচেতন ব্যক্তিদের মতে করোনার এই আগ্রাসন থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্কভাবে চলা ফেরা করতে হবে। জরুরী কাজ ছাড়া ঘরে থাকাই উত্তম। তারপরেও যদি কেউ বাড়ি থেকে বের হন তবে তাকে অবশ্যই সামিিজক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করতে হবে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, করোনার এই বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়। যদিও অন্যান্য জেলার চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে নাটোর । তবে স্বাস্থ্য বিধি এবং নিরাপদ দুরত্ব পালন না করলে নাটোরে করোনা সংক্রমন ভয়াবহ হতে পারে। কাজেই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ দুরত্বে থেকে চলা ফেরা করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ বলেন, জনগণকে সচেতন করতে প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে। শুরু থেকে ভ্রাম্যমান আদালত কার্যকর রয়েছে। এসবের মধ্যে দিয়ে আমরা কিছুটা সফলতা পেয়েছি। কিন্তু মূল সফলতা নির্ভর করছে জনগণের সচেতন হয়ে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক সুরক্ষা পালনের ওপর।