করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার রেড জোনে ঢুকে পড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায়। ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা আলাদা আলাদাভাবে লকডাউনের কথা ভাবছে রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার পর্যন্ত রাজশাহী নগরীতে ১৭১ জনের করোন সনাক্ত হয়। তবে মঙ্গলবার রাজশাহী শহরের আরো ৩৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়। এনিয়ে নগরীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৭ জনে। সে হিসেবে রাজশাহী নগরী এখন রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।
তিনি বলেন, রাজশাহী নগরী এখন রেড জোনে পড়ছে। রেড জোনের যে থিওরি ছিলো (এক লাখে ৩০ জন আক্রান্ত) সেটি পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় আরও অনেক কিছু আছে। সেই হিসেবে রাজশাহী নগরী এখন থিওরিটিক্যালি রেড জোনে। তিনি আরও বলেন, রেড জোন এলাকায় লকডাউন বাস্তাবায়ন করতে হলে গোটা সিটি করপোরেশন এলাকায় করতে হবে। সেটি করা সম্ভব না। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোথায় কোথায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত রোগী আছে সেটি খুঁজে বের করে তাদের একটি অংশ বা বাড়ি অথবা ১০ টি পরিবার লকডাউন করলে বাকিরা সাচ্ছন্দ বোধ করবে। এর মাধ্যমে সংক্রমনটিও আটকানো যাবে।
মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী জেলার আরও ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী নগরীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা ৩৬ জন। এদিন দুই ল্যাবে ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ও রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনাহার এ তথ্য জানান। তারা জানান, নতুন শনাক্ত ৩৬ জন নিয়ে রাজশাহী জেলায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৫ জনে। এর মধ্যে নগরের ২০৭ জন। রাজশাহীতে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক ও একজন করোনা ল্যাবের কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগের করোনা ল্যাবে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তরা সবাই রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাস করেন।
এর মধ্যে মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবের শামীম আখতার এর নমুনা পজিটিভ এসেছে। এর আগে তার মা ও ছেলের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। নতুন ৩৬ জন শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫ জনে দাঁড়াল। আর রাজশাহীতে ৬ জন মারা গেছেন।