দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরল, কাহারোল, সেতাবগঞ্জ উপজেলায় বিগত ৭ কয়েকদিন ধরে দিনব্যাপী বৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার সাধারণ মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই এসব এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এর ফলে অনেকেই ছাতা নিয়ে হেঁটে গন্ত্যবে পৌঁছাতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনা সড়কে মানুষের যাতায়াত কম দেখা গেছে। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি।
অপরদিকে সকাল থেকেই পুরো আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা রয়েছে, দেখা মেলেনি সূর্যের। এছাড়া দিনব্যাপী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় কারনে অটোরিক্সা চালক’সহ খেটে খাওয়া মানুষরা পরেছেন ভীষণ বিপাকে।
চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারনে খেটে খাওয়া মানুষ এবং মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেক অভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বৃষ্টি হওয়াতে এই সাধারণ মানুষের আয় কমে যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
অটোরিকশা চালক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মুই সারাদিনে একশো’ টাকার ভাড়াও মারুনি। সংসার কেমনে চলিবে। তাও ফের অটোটা মোর নিজের। কিন্তু যামরা ভাড়া অটো চালায় তামার তাইলে কি অবস্থা এগনা বুঝেন!’
খাবার হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘কাচারীর মতন জায়গাত সারাদিনে ৭ কেজি চালের ভাত বেচা যায়না। একতো করোনার কারণে হোটেল ৪টা’র মধ্যে বন্ধ করিবা হয়, ফের আইজকা সারাদিন পানি হওয়াতে মাংসের দামীগুলোও উঠিবেনাই। এমন বেচাকেনা হইলে কর্মচারীগুলাক কি দিমো আর হামরাই ফের কি খামো!’
রাজমিস্ত্রী কর্মচারী সবুজ বলেন, ‘সকাল থাকি এই পানির তন্নে মুই আইজ সাইটত যাবায় পারোনি, এমন যদি প্রদ্দিন হয় তাইলে হামার কি হবি! কেমন করি চলিমো মাথায় কাজ করেনা।’
এমন অবস্থা দিনাজপুর জেলার এসব উপজেলায়, উপজেলার সর্বত্র! করোনার কারণে বিকাল ৪টা’র মধ্যে সবকিছু বন্ধ রাখতে হয়। এই সময়ের মধ্যে অনেকেই নিজের সংসারের প্রয়োজনটুকু মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু দিনব্যাপী বৃষ্টির কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে।