জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৭২-১৯৭৫):১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পরে সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন।
সেনাবাহিনী
সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠনের জন্য মুক্তিবাহিনী ও এক্স-পাকিস্তান আর্মি ও ইপিআর সদস্যদের রিক্রুট করা শুরু করেন। কুমিল্লায় গঠিত হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি যা পরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে স্থানান্তরিত হয়।মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব ব্যাটারি, রওশন আরা ব্যাটারি ও সতন্ত্র রকেট ব্যাটারিকে যথাক্রমে ১,২,৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি হিসাবে রুপান্তর করা হয়।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া বিভিন্ন ট্যাংক, কামান,মর্টার ও RR ভেহিকলকে সেনাবাহিনীতে কমিশন করানো হয়।মিশর থেকে প্রায় ৩০ টির মত T-54 Tank উপহার পায় সেনাবাহিনী।
নৌবাহিনী
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের জন্য ভারত থেকে ও বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে নির্মিত দুইটি যুদ্ধজাহাজ কমিশন করান।
- ব্রিটেন থেকে ২ টি ফ্রিগেট ক্রয় করেন।
- বানৌজা ঈশা খা ঘাটি গঠন করেন।
বিমানবাহিনী
- বিমানবাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু সেই সময়কার অত্যাধুনিক MiG-21 যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করেন।
- পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফেলে যাওয়া F-86 Sabre, T-33 বিমান অন্তর্ভুক্ত করেন
- ভারত থেকে Alluette-3 হেলিকপ্টার ক্রয় করা হয়
- রাশিয়া থেকে Antonov An-24 ও Mi-8 হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- ব্রিটেন থেকে ২ টি Westland Wessex হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ক্রয় ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু বর্তমানের র্যাবের মত রক্ষী বাহিনী গঠন করেছিলেন যা তার মৃত্যুর পর সামরিক বাহিনীর সাথে একিভূত করে নেয়া হয়।