লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছর বয়সী শিশু ফারহানা আক্তার রাহিমাকে হত্যায় অভিযুক্ত বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু মারা গেছেন। সোমবার রাতে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে জেলা কারাগার থেকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আসামি ফয়েজ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিজ মেয়ে হত্যা মামলার আসামি ফয়েজের বুকে ব্যথা শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলতি বছরের ৫ মে ফয়েজ তার মেয়ে রাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন এলাকায় ঝোঁপের ভেতর লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। একই দিন রাতে তিনি নিজেই থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
১১ মে সকালে পুলিশ ফয়েজকে আটক করে। পরে মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রাশেদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। একইদিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে ফয়েজ জবানবন্দি দেন। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন রায়হান চৌধুরী।
৮ মে মধ্যরাতে মেয়ের লাশ ঝোঁপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেন। ৯ মে সকালে নিজেই থানা পুলিশকে অবহিত করেন, তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে টয়লেটের টাংকিতে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে।